
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ১১ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক এবং মাতৃজগত আইপি টেলিভিশন-এর চেয়ারম্যান দেশবরেণ্য সংগঠক, গণমাধ্যম উন্নয়নের অন্যতম পথিকৃৎ এবং মানবতার ফেরিওয়ালা খান সেলিম রহমানের ৪৮তম শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে তাঁর দীর্ঘ পথচলা, শক্ত নেতৃত্ব এবং মানবিক কর্মকাণ্ড তাঁকে অনন্য এক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।
খান সেলিম রহমান ১৯৭৭ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আলহাজ্ব আবদুর রব মিয়া ছিলেন নীতিবান, সদাচারী ও সমাজসেবায় নিবেদিত একজন মানুষ। মা বিবি জারিফা ছিলেন পরোপকারী, নম্র এবং শিক্ষামুখী এক গুণবতী নারী। শৈশব থেকেই পারিবারিক নৈতিকতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা ও চরিত্র গঠনের আদর্শ তাঁকে মানবিক ও দায়িত্বশীল করে গড়ে তোলে।
ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী, সাহসী ও দৃঢ়চেতা। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ, বাস্তবতার কঠিন পথ এবং প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে তিনি আজ বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় একটি উজ্জ্বল নাম। সত্যনিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা, পেশাগত সততা এবং দৃঢ় মনোভাব তাঁকে সংবাদমাধ্যমের এক শক্তিশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তিনি শুধু সম্পাদক, সংবাদকর্মী নন; গণমাধ্যমের উন্নয়ন, তরুণ সাংবাদিক তৈরির প্রয়াস, সংগঠন পরিচালনার আধুনিক ধারা এবং সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায়ও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
সাংবাদিকদের যেকোনো হামলা, মামলা বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে তিনি সর্বপ্রথম পাশে দাঁড়ানোর জন্য পরিচিত। বহু সাংবাদিক যখন অবিচার বা হয়রানির মুখোমুখি হয়েছেন, তখন তিনি তাদের পাশে নির্ভরতার মতো দাঁড়িয়েছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাংবাদিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আইনগত সহযোগিতা প্রদান এবং পেশাগত সুরক্ষায় তাঁর ভূমিকা তাঁকে সাংবাদিক সমাজের অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এই মানবিক ভূমিকার জন্য তাঁকে অনেকে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে থাকেন।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম উন্নয়নে তাঁর অবদান অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সংবাদপত্রে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা, পেশাগত শৃঙ্খলা, তথ্যের সত্যতা যাচাই এবং সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে তিনি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তরুণ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ, পেশাগত সহযোগিতা এবং নৈতিকতা শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে সত্যকে ধারণ করতে হলে সাংবাদিককে প্রথমে সৎ হতে হবে। এই ভাবনা থেকেই তিনি সংবাদপত্র পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দায়িত্ববোধ এবং সময়োপযোগী নীতিমালা অনুসরণ করে আসছেন।
তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে দেশের সাংবাদিক সমাজ তাঁকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেক সাংবাদিক ব্যক্তিগত অনুভূতিতে বলেন, খান সেলিম রহমান শুধু গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নন; তিনি আমাদের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, ইতিবাচক দিকনির্দেশনা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথকে আলোকিত করে। সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন, সংগঠনের অগ্রগতি এবং প্রান্তিক মানুষের অধিকারের পক্ষে তাঁর অটল অবস্থান সত্যিই প্রশংসনীয়। সৎ, আদর্শনিষ্ঠ এবং প্রগতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি আজকের তরুণ সাংবাদিকদের এক অনুপ্রেরণার উৎস।
মানবতার ক্ষেত্রে তাঁর অবদানও অসামান্য। দেশের দুর্যোগ, বন্যা, সামাজিক সংকট বা মানুষের বিপদে তিনি যেমন দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়ান, তেমনি সমাজসেবা ও জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। তাঁর কাছে মানবতা একটি দায়িত্ব, একটি বিশ্বাস। এই কারণেই তিনি সাধারণ মানুষের কাছেও সমান সম্মানের অধিকারী।
দেশের গণমাধ্যম অঙ্গনে তাঁর অবদান নিঃসন্দেহে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। সাংবাদিকতার স্বচ্ছতা, নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতার পথে তিনি যে মানদণ্ড তৈরি করেছেন, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর কর্মধারা, চিন্তা, সাহস, নৈতিকতা এবং মানবিকতার প্রতিটি ধাপ সাংবাদিকতার মূল্যবোধকে আরও শক্তিশালী করেছে।
আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও শুভকামনা জানাই। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিন হোক আলোকোজ্জ্বল, সার্থক এবং সমৃদ্ধ। আগামীর পথ তাঁর জন্য বয়ে আনুক আরও সাফল্য, সম্মান এবং সমাজের কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ।