হৃদয়ে-হাহাকার
লেখক খান সেলিম রহমান:
মুখে হাসি-চোখে জল, বুকে আছে-তাজা বল, চোখের জলে-সদাই টলমল!! কাটছে প্রহর দিন রজনী-কাটছে ব্যাথার প্রহর।।
আমায় ছাড়াই-চলছে স্বার্থেরই শহর;
পেরিয়ে গেলো তিনটি বছর-আজ ও ভূলতে নাহি পারি! বেলায় অবেলায় ভাবছি সদা-একা একা-নিরালায় ;
ভাবছি বসে তোমার কথা-ঘুম আসেনা নির্জনে একা,
তোমাকে হারানোর ব্যাথা-সহিতে আজ ও-পারিনা ।। দাত থাকিতে দাতের মর্ম-কেহ যেমন বুঝেনা, বাবা নাহি থাকিলে-কেমনে থাকে ছেলেরা? শৈশবে পিতামহকে হারিয়ে-চলেছ যে তোমরা, তোমাদের সেই যুগটা-ছিলো অনেক ভালো, আমাদের এই যুগটা-আধার কালো। স্বার্থের জন্যে-সমাজটা যে অন্ধ!! কাব্যাংশে লিখবো কি আর-হৃদয়ে যে ব্যাথার পাহাড়!
তোমার নামে লিখেছি চিঠি-কবিতার নামে নিশিকালে,
জানা নেই মোর সেই পথ-পাঠাবো কোন ঠিকানায়!! মজলুমপুত্র তোমার-কাদে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে!! মজলুমপুত্র আমি বড় দুঃখী- দুঃখীপিতাকে-ভূলতে নাহি পারি!! বাবা তোমাকে এখনো-স্বপ্ন দেখি প্রতি রাতে
সব স্বপনের উত্তর খুঁজি-যখন তোমায় নিয়ে ভাবি,
হারানো পথের দিকে-পেছন ফিরে ফিরে।।
আমার হৃদয়, মন-তোমার ছবি আঁকে!!
কভূ নেই শেষ এই অপেক্ষার-তবুও ব্যার্থচেষ্টা মনকে বোঝাবার। মানুষ মারা গেলে-রেখে যায় স্মৃতি, কবিগন মারা গেলে হয়ে যায়-ইতিহাসের কৃতি, প্রথম যখন লিখেছি-এই অমীয় বাণী, বুঝতে পারিনি কভূ বাণীটি বিশ্লেষনে-বেশী যন্ত্রনা পাবো আমি। আঘাত পাবো হৃদয়ে মোর-যাকে নিয়ে দিনরজনী ভাবি। ব্যাথিত মজলুম হৃদয়ে-সদাই হাহাকার করি। ওহে রাহিম রাহমান-মোনাজাত করি নিকটে তোমার; স্বর্গ সুখ দিও তুমি-দয়াময় প্রভু বাবাকে আমার! বিরহী রাইটার’আমি-কান্দি বারে বার। প্রভু তুমি-রাহমান ও গাফ্ফার, জীবন দুঃখী-মজলুম:আমি… বান্দা যে তোমা