সিনিয়র রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসলাম সানি, শফিকুল ইসলাম রনি ও রফিকুল ইসলামকে মাথায় ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে মারাত্মক ভাবে জখম হন আসলাম সানি,শফিকুল ইসলাম রনি ও রফিকুল ইসলাম। পরে তাদেরকে প্রতিবেশী সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক তাকে মদনপুর মোড়ে আল বারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ নেয়ার পথেই শফিকুল ইসলাম রনি ও আসলাম সানি দুই ভাই মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রফিকুল ইসলাম গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে আসলাম সানি, রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের বোন শামসুন্নাহার বাদি হয়ে সোনারগাঁও মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা। নং৪৫। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়।
মৃত সমিরুদ্দিনের ছেলে মোঃ মোস্তফা (৩৫) মোঃ মামুন ( ৩০ ) মোঃ মফিজুল ইসলাম (২৮) মোঃ মারুফ হোসেন মোছাম্মৎ মোরশেদা বেগম ( ৩০) মুক্তা বেগম (২৭) মাহমুদা বেগম (২২) মিনারা বেগম (৪৮) একই এলাকার বলে জানা যায়। এলাকার স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আসলাম সানি, শফিকুল ইসলাম রনি ও রফিকুল ইসলামকে রামদা, ছুরি লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হলে তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পথে আসলাম সানি ও শফিকুল ইসলাম মারা যায় বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম রনি, রফিকুল ইসলাম ও আসলাম সানির বোন মামলার বাদী শামসুন্নাহার বেগম ও দুলাভাই নাসিম উদ্দিন এর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, মহিউদ্দিন, মোস্তফা, মামুন, মফিজুল,মারুফ, মোর্শেদা,মুক্তা,মাহমুদা,মিনারা সহ ৪/৫ জন আমার দুই ভাইকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। আমার আর এক ভাই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এদের বিরুদ্ধে সঠিক বিচার চাই, হত্যাকারীদের খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। প্রশাসনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে এক নম্বর আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন এখনো তাকে অ্যারেস্ট করতেছে না কেন আমরা বুঝতেছিনা। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার ভাইয়ের খুনিদের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। আমাদেরকে তারা প্রতিনিয়ত প্রাননাশের হুমকি প্রদান করছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার মামলার আইও অফিসার ডিবি কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলে একপর্যায়ে তিনি জানান, এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। আপনি অফিসে এসে আমার সাথে দেখা করেন বলে কল কেটে দেন।