রমজান মাসকে সামনে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিমের দাম। গাজীপুরের শ্রীপুরে বিভিন্ন বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে হালিতে এর দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। খুচরা দোকানে গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, আজ সোমবার সকালে প্রতি হালি পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। ডিমের পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপণ্য পেঁয়াজ, ডাল ও সবজির দামও বেড়েছে। ডিমের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম বেশি থাকায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। আবার মজুদ ডিমে বেশি মুনাফা করতে বাজারে কম ছাড়ছেন ডিম। এ কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। শ্রীপুর উপজেলার মাওনার চৌরাস্তার ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির খাদ্যের দাম বেশি থাকায় মুরগির ডিম উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ায় খামারে মুরগির ডিমের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এ কারণেই ডিমের দাম বাড়ছে। বর্তমানে খামার থেকে ১১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকায়। মাওনা চৌরাস্তার ডিমের ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয় উপজেলার বিভিন্ন পোল্ট্রি শিল্প থেকে। সোমবার সকালে পাইকারিতে এ বাজারে ১০০ পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায়। ১০০ দেশি হাঁসের ডিম ১২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ১৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। উপজেলার বরমী, কাওরাইদ ও গোসিংগা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হালি। হাঁসের ডিম ৬০ থেকে ৬৫ ও দেশি মুরগির ডিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও এসব বাজারে তা বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৪০ টাকা, ৪৫ টাকা ও ৫০ টাকা হালিতে। উপজেলা কাওরাইদ বাজারে ডিম ব্যবসায়ী হারুন মিয়া জানান, হঠাৎ করে বাজারে মাছ, মাংস, মুরগি, ডাল ও সবজির দাম বেড়েছে। এ কারণে ডিম কেনার হিড়িক পড়েছে। এ বিপুল চাহিদা সামাল দিতে বাজারে ডিমের সংকট তৈরি হয়েছে। তাছাড়া রমজান মাস সামনে রেখে এ সময়টায় ডিমের দাম কিছুটা বাড়ে। উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা ডিমের অন্যতম পাইকারি বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হঠাৎ শীতের পরে গরম বেড়ে যাওয়ায় পোলট্রি খামার থেকে ডিম উৎপাদন কম হচ্ছে। এ কারণে ডিম কম আসায় দাম বেড়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে দাম কমে আসবে। তবে খুচরা বিক্রেতারা এ সুযোগে ডিমের দাম বেশি নিচ্ছে।